বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে প্রথম ইনিংসে যখন দল কার্যত খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে, তখনই ভারতীয় দলের ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। পরপর ব্যাটাররা যখন ফিরছেন সাজঘরে, তখন আরেক অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়েই ভারতীয় ব্যাটিংয়ে গড়ে তুলেছিলেন চিনের প্রাচীর। বাংলাদেশের হাসান মাহমুদদের সব মস্তানি এসে শেষ হয়ে যাচ্ছিল জাড্ডু – আন্না জুটির সামনেই। এবার চেন্নাই সুপার কিংসের প্রাক্তন এবং বর্তমান সতীর্থ মাতলেন রসিকতায়। সঙ্গ দিলেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের তারকা পেসার জসপ্রীত বুমরাহ। মজার ছলেই অশ্বিনের সঙ্গেও মজা করে তুলনা টানা হল মহেন্দ্র সিং ধোনির।
শুধু চেন্নাই বলে নয়, গোটা ভারতেই এখন ক্রিকেটের সঙ্গে যুক্তদের মুখে মুখে উঠে আসে ‘থালা ফর আ রিজন’ প্রবাদ। মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে এই উক্তি সচরাচর ব্যবহার করা হয় ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার এবং সমর্থকদের তরফে। অর্থাৎ থালা(ধোনি) যে সব কিছুই করতে পারেন সেটা বোঝাতেই এই প্রবাদ ব্যবহার করা হয় মজা করে। এবার চেন্নাই টেস্টে অশ্বিনের অনবদ্য পারফরমেন্সের পর তাই তাঁকেও মজা করে ধোনির সেই প্রবাদের সঙ্গে তুলনা করে পিছনে লাগলেন সতীর্থ জাদেজা এবং বুমরাহ, সেই ভিডিয়োই নিজেদের সোশাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছে বিসিসিআই।
শুক্রবার কানপুর টেস্টে নামবে ভারত। তাঁর আগে ভারতীয় দলের কানপুরে যাওয়ার ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় দিয়েছে বিসিসিআই। সেখানেই দেখা যাচ্ছে বিমানের সিটে বসে রয়েছেন অশ্বিন। তাঁর পাশে রয়েছেন জাদেজা। আরেকদিকে জানলার ধারে রয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। খোশমেজাজে থাকা ভারতীয় দলের সতীর্থরা একটু লেগ পুলিং করলেন অশ্বিনের। প্রথমে অশ্বিনকে নিয়ে বুমরাহ বললেন ‘থালা ফর আ রিজন’, এরপর একই উক্তি শোনা গেল জাদেজার মুখে। বুমরাহ পরে বলে দিলেন, এই উক্তি তিনি অশ্বিন আন্নার প্রশংসা করেই ব্যবহার করছেন। বিষয়টি উপভোগ করলেও অশ্বিন জানালেন সতীর্থরা তাঁর লেগ পুল করার চেষ্টা করছে।
প্রসঙ্গত চেন্নাই সুপার কিংসে দীর্ঘদিন খেলেছেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন, তিনি চেন্নাইয়েরই ছেলে। ফলে ধোনির নেতৃত্বে দীর্ঘদিন খেলার সুযোগ পেয়েছেন, জিতেছেন বিশ্বকাপও। তিনিই প্রথম টেস্টে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফেরান ভারতকে। এরপর বল হাতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটিং অর্ডারের মেরুদণ্ড ভেঙে দেন। সিরিজে আপাতত ভারত এগিয়ে ১-০ ফলে। কানপুরেও অশ্বিনরা চাইবেন ম্যাচ জিতে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দিকে এক পা এক পা করে এগিয়ে যেতে।